প্রতিনিয়ত কেউ না কেউ অসৎ পুলিশের খপ্পরে পড়ে হয়রানীর শিকার হন, খুন হন, গুম হন, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার হন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নির্যাতিত ব্যক্তি বা ব্যক্তির পরিবার নিরবে সহ্য করে যান। ফলে ঐসব অসৎ পুলিশ নির্যাতিত ব্যক্তির দিক থেকে কোন প্রতিক্রিয়া না পেয়ে নতুন উদ্যমে অপরাধ করতে থাকে। অপরাধের মাত্রাও বেড়ে যায় অনেকখানি। ঐসব নির্যাতিত ব্যক্তি মুখ বুঝে নির্যাতন হজম করে ফেলেন নতুন করে হয়রানি হওয়ার ভয়ে। তবে এটা তারা বুঝতে পারেন না যে নিরবে এই সব অপরাধ সহ্য করা মানে ভবিষ্যৎ হয়রানি থেকে বেচে যাওয়া নয়। বরং নতুন নতুন হয়রানির জন্ম দেওয়া। একটু সৎ সাহস থাকলে এবং দৃঢ় মনোবল থাকলে এসব অপরাধী পুলিশের লাগাম টেনে ধরা সম্ভব। কারণ অপরাধী যতই ভয়ংকর হোক না কেন তার মনোবল থাকে দুর্বল। তাছাড়া এই সব অসৎ পুলিশের চাকরি চলে যাওয়ার সম্ভাবনা তো রয়েছেই। সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার এই সব অসৎ পুলিশের লাগাম টেনে ধরার জন্য একটি কার্যকরী আইন প্রণয়ন করেছন যেটি নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩ নামে অভিহিত করা হয়েছে। এই আইন অনুযায়ী নির্যাতিত ব্যক্তি অসৎ পুলিশের বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ নিতে পারেন। তবে এই আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহনের আগে নির্যাতন বলতে কি বুঝানো হয়েছে সেটি আগে জেনে নেওয়া দরকার।
এই আইনের ২ ধারার ৬ উপধারায় বলা হয়েছে যে ‘নির্যাতন’ অর্থ কষ্ট হয় এমন ধরনের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন; এতদ্ব্যতীত—
(ক) কোনো ব্যক্তি বা অপর কোনো ব্যক্তির নিকট হইতে তথ্য অথবা স্বীকারোক্তি আদায়ে;
(খ) সন্দেহভাজন অথবা অপরাধী কোনো ব্যক্তিকে শাস্তি প্রদানে;
(গ) কোনো ব্যক্তি অথবা তাহার মাধ্যমে অপর কোন ব্যক্তিকে ভয়ভীতি দেখানো;
(ঘ) বৈষম্যের ভিত্তিতে কারো প্ররোচনা বা উস্কানি, কারো সম্মতিক্রমে অথবা নিজ ক্ষমতাবলে কোনো সরকারি কর্মকর্তা অথবা সরকারি ক্ষমতাবলে—
এইরূপ কর্মসাধনও নির্যাতন হিসাবে গণ্য হইবে।
এই আইনের ২ ধারার ৬ উপধারায় বলা হয়েছে যে ‘নির্যাতন’ অর্থ কষ্ট হয় এমন ধরনের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন; এতদ্ব্যতীত—
(ক) কোনো ব্যক্তি বা অপর কোনো ব্যক্তির নিকট হইতে তথ্য অথবা স্বীকারোক্তি আদায়ে;
(খ) সন্দেহভাজন অথবা অপরাধী কোনো ব্যক্তিকে শাস্তি প্রদানে;
(গ) কোনো ব্যক্তি অথবা তাহার মাধ্যমে অপর কোন ব্যক্তিকে ভয়ভীতি দেখানো;
(ঘ) বৈষম্যের ভিত্তিতে কারো প্ররোচনা বা উস্কানি, কারো সম্মতিক্রমে অথবা নিজ ক্ষমতাবলে কোনো সরকারি কর্মকর্তা অথবা সরকারি ক্ষমতাবলে—
এইরূপ কর্মসাধনও নির্যাতন হিসাবে গণ্য হইবে।
এবং ৭ উপধারায় হেফাজতে মৃত্যুর সঙ্গা দেওয়া হয়েছে। ‘হেফাজতে মৃত্যু’ অর্থ সরকারি কোনো কর্মকর্তার হেফাজতে কোনো ব্যক্তির মৃত্যু; ইহাছাড়াও হেফাজতে মৃত্যু বলিতে অবৈধ আটকাদেশ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কর্তৃক গ্রেপ্তারকালে কোনো ব্যক্তির মৃত্যুকেও নির্দেশ করিবে; কোনো মামলায় সাক্ষী হউক বা না হউক জিজ্ঞাসাবাদকালে মৃত্যুও হেফাজতে মৃত্যুর অন্তর্ভুক্ত হইবে।
উক্ত ধারা গুলি থেকে এ কথা পরিষ্কার যে নির্যাতন মানে শুধু শারিরীক আঘাতই নয় বরং মানুষিক আঘাত বা যন্ত্রণাকেও অন্তর্ভুক্ত করে। এছাড়া প্রতিনিয়ত কোন না কোন বাক্তি বন্দুকযুদ্ধের নামে প্রাণ হারাচ্ছে। বন্দুক যুদ্ধের নামে এই সব হত্যাকান্ডও হেফাজতে মৃত্যু বলে অভিহিত হবে এবং হত্যার শিকার পরিবারগুলি আইনি প্রতিকার পাওয়ার হকদার।
আইনি প্রতিকার কোথায় পাবেন
এই আইনের ৪ ধারায় বলা হয়েছে একজন নির্যাতিত ব্যক্তি কোথায় এবং কিভাবে প্রতিকার পাবেন। সবসময় যে নির্যাতিত ব্যক্তিকেই ছুটতে হবে প্রতিকারের জন্য এমনটি নয়। বরং নির্যাতিত ব্যক্তির পক্ষে তার আত্মীয় স্বজন রাও উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন। এই আইনের ৪ ধারায় বলা হয়েছে যে-৪। (১) ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮ (Code of Criminal Procedure 1898, Act V of 1898) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, তাহা সত্ত্বেও এই আইনের এখতিয়ারাধীন কোন আদালতের সামনে কোন ব্যক্তি যদি অভিযোগ করে যে, তাহাকে নির্যাতন করা হইয়াছে, তাহা হইলে উক্ত আদালত—
(ক) তাৎক্ষণিকভাবে ঐ ব্যক্তির বিবৃতি লিপিবদ্ধ করিবেন;
(খ) একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসক দ্বারা অবিলম্বে তাহার দেহ পরীক্ষার আদেশ দিবেন;
(গ) অভিযোগকারী মহিলা হইলে রেজিস্টার্ড মহিলা চিকিৎসক দ্বারা পরীক্ষা করিবার ব্যবস্থা করিবেন।
(২) চিকিৎসক অভিযোগকারী ব্যক্তির দেহের জখম ও নির্যাতনের চিহ্ন এবং নির্যাতনের সম্ভাব্য সময় উল্লেখপূর্বক ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উহার একটি রিপোর্ট তৈরী করিবেন।
(৩) উপ-ধারা (২) অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক প্রস্তুতকৃত রিপোর্টের একটি কপি অভিযোগকারী অথবা তাহার মনোনীত ব্যক্তিকে এবং আদালতে পেশ করিবেন।
(৪) চিকিৎসক যদি এমন পরামর্শ দেন যে পরীক্ষাকৃত ব্যক্তির চিকিৎসা প্রয়োজন তাহা হইলে আদালত ঐ ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করিবার নির্দেশ প্রদান করিবেন।
অভিযোগ দায়েরের পর কি হবে
অভিযোগ দায়েরর পর সংশ্লিষ্ট আদালত পুলিশ সুপার বা তার ঊর্ধ্বতন কোন কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ টি প্রেরণ করবেন এবং মামলা দায়েরর নির্দেশ দিবেন। এক্ষেত্রে ৫ ধারায় বলা হয়েছে যে-
৫। (১) ধারা ৪ এর উপ-ধারা (১) (ক) অনুযায়ী বিবৃতি লিপিবদ্ধ করিবার পর আদালত অনতিবিলম্বে বিবৃতির একটি কপি সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপারের কাছে বা ক্ষেত্রমত, তদূর্ধ্ব কোন পুলিশ কর্মকর্তার কাছে প্রেরণ করিবেন এবং একটি মামলা দায়েরের নির্দেশ প্রদান করিবেন।
(২) পুলিশ সুপার উক্ত আদেশ প্রাপ্তির পর পরই ঘটনা তদন্ত করিয়া চার্জ বা চার্জবিহীন রিপোর্ট পেশ করিবেনঃ
তবে শর্ত থাকে যে, সংশ্লিষ্ট সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি যদি মনে করেন যে পুলিশ দ্বারা সুষ্ঠুভাবে তদন্ত সম্ভব নয় সেক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তি যদি আদালতে আবেদন করেন এবং আদালতে যদি তাহার আবেদনে এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির আবেদন যথার্থ সেক্ষেত্রে আদালত বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।
(৩) রিপোর্ট দাখিলের সময় তদন্ত কর্মকর্তা, ক্ষেত্রমত, বিচার বিভাগীয় তদন্ত কর্মকর্তা ধারা ৪(১) এর অধীনে বিবৃতি প্রদানকারী ব্যক্তিকে তারিখসহ রিপোর্ট দাখিল সম্পর্কে আদালতকে অবহিত করিবেন।
(৪) উপরোল্লিখিত উপ-ধারা (৩) এর অধীনে নোটিশপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি নোটিশ গ্রহণের ৩০ দিনের মধ্যে নিজে ব্যক্তিগতভাবে অথবা আইনজীবী মারফত আদালতে আপত্তি জানাইতে পারিবে।
(৫) আদালত সংঘটিত অপরাধের সংগে জড়িত ব্যক্তির পদমর্যাদার নিম্নে নহে এমন পদমর্যাদার কোন পুলিশ অফিসারকে মামলার তদন্ত অনুষ্ঠানের নির্দেশ প্রদান করিবেন।
অন্য কোথাও কি অভিযোগ দায়ের করা যাবে?
হ্যা অভিযোগ দায়েরের জন্য বিকল্প ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে আইন টিতে। এই আইনের ৭ ধারায় বিকল্প পদ্ধতিতে অভিযোগ দায়ের করা যাবে। ৭ ধারায় বলা হয়েছে যে-
৭। (১) ধারা ৫ ও ৬ এ বর্ণিত প্রক্রিয়া ছাড়াও কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত না হওয়া সত্ত্বে তৃতীয় কোন ব্যক্তি দায়রা জজ আদালতে অথবা পুলিশ সুপারের নিচে নয় এমন কোন পুলিশ কর্মকর্তার নিকট নির্যাতনের অভিযোগ দাখিল করিতে পারিবে।
(২) উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ সুপার অথবা তাহার চেয়ে ঊধ্বর্তন পদমর্যাদার কোনো অফিসার তাৎক্ষণিক একটি মামলা দায়ের ও অভিযোগকারীর বক্তব্য রেকর্ড করিবেন এবং মামলার নম্বরসহ এই অভিযোগের ব্যাপারে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইতে পারে উহা অভিযোগকারীকে অবহিত করিবেন।
(৩) উপরে বর্ণিত উপ-ধারা (২) মোতাবেক অভিযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণকারী পুলিশ সুপার অথবা তাহার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অভিযোগ দায়েরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দায়রা জজ আদালতে একটি রিপোর্ট পেশ করিবেন।
নিরাপত্তার জন্য যে ব্যবস্থা
অভিযোগ দায়ের করতে ভয় পাওয়ার অন্যতম কারণ হলো ভুক্তভোগী মনে করেন যে অভিযোগ দায়েরের পর তার উপর আরো বেশি নির্যাতন করা হতে পারে। তার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। এজন্যই নির্যাতিত ব্যক্তির নিরাপত্তার জন্য ১১ ধারা অনুযায়ী আবেদন করার বিধান রাখা হয়েছে। ১১ ধারায় বলা হয়েছে-
১১। (১) অভিযোগকারী কোনো ব্যক্তি এই আইনে অভিযুক্ত কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বিধানকল্পে দায়রা জজ আদালতে পিটিশন দায়ের করিতে পারিবে।
(২) রাষ্ট্র এবং যাহার বিরুদ্ধে নিরাপত্তা চাওয়া হইয়াছে তাহাদেরকে উক্ত পিটিশনের পক্ষভুক্ত করা যাইবে।
(৩) পিটিশন গ্রহণ করিয়া আদালত বিবাদীকে সাত দিনের নোটিশ জারি করিবে এবং ১৪ দিনের মধ্যেই পিটিশনের ওপর একটি আদেশ প্রদান করিবে।
(৪) উপরে উল্লিখিত উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত এ ধরনের কোনো মামলা নিষ্পত্তিকালে আদালত প্রয়োজনবোধে ঐ ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন সাত দিনের অন্তরীণ আদেশ দিতে পারিবে এবং সময়ে সময়ে উহা বৃদ্ধি করিতে পারিবে।
(৫) আদালত এই আইনের অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধের তদন্ত কর্মকর্তাদের আদালতের আদেশ পালন নিশ্চিত করিবার নির্দেশ দিতে পারিবে।
(৬) আদালত নিরাপত্তা প্রার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দিতে পারিবে এবং প্রয়োজনবোধে আদালত স্থানান্তর এবং বিবাদীর নির্দিষ্ট কোনো এলাকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করাসহ নিরাপত্তার বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।
এছাড়া এই আইনের অধীনে কৃত কোন অপরাধ যুদ্ধাবস্থা, যুদ্ধের হুমকি, আভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা অথবা জরুরি অবস্থায়; অথবা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা সরকারি কর্তৃপক্ষের আদেশে করা হইয়াছে এইরূপ অজুহাত পুলিশ উথাপন করতে পারবে না। কারণ ১২ ধারা অনুযায়ী এই সব অজুহাত অগ্রহণযোগ্য করা হয়েছে। কাজেই পুলিশের বন্দুক যুদ্ধের নাটক এক্ষেত্রে গ্রহণীয় নয়।
অপরাধের তালিকা
এই আইনে কি কি বিষয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে তা ১৩ ধারায় বলে দেওয়া হয়েছে। ১৩ ধারা মতে-
১৩। (১) কোনো ব্যক্তি অপর কোনো ব্যক্তিকে নির্যাতন করিলে তাহা ঐ ব্যক্তির কৃত একটি অপরাধ হিসাবে গণ্য হইবে।
(২) কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত কোনো অপরাধ—
(ক) সাধনে উদ্যোগী হন;
(খ) সংঘটনে সহায়তা ও প্ররোচিত করেন; অথবা
(গ) সংঘটনে ষড়যন্ত্র করেন—
তাহা হইলে এই আইনের অধীনে তিনি অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে।
(৩) এই আইনে কৃত অপরাধের দায়ভার অপরাধীকে ব্যক্তিগতভাবে বহন করিতে হইবে।
শাস্তি কি হবে
এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধ সমুহের শাস্তি কি হবে তা বলা হয়েছে ১৫ ধারায়। এই ধারায় বলা হয়েছে -
১৫। (১) কোন ব্যক্তি এই আইনের ধারা ১৩ এর উপ-ধারা (১) এর অধীনে দোষী সাব্যস্ত হইলে তিনি অন্যূন পাঁচ বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা অন্যূন পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং উহার অতিরিক্ত পঁচিশ হাজার টাকা ক্ষতিগ্রস্ত/সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি/ব্যক্তিদেরকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করিবেন।
(২) কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যক্তিকে যদি নির্যাতন করেন এবং উক্ত নির্যাতনের ফলে উক্ত ব্যক্তি যদি মৃত্যুবরণ করেন তাহা হইলে নির্যাতনকারী এই আইনের ধারা ১৩ এর উপ-ধারা (১) অনুযায়ী অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে এবং তজ্জন্য তিনি অন্যূন যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড অথবা অন্যূন এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং উহার অতিরিক্ত দুই লক্ষ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত/সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি/ব্যক্তিদেরকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করিবেন।
(৩) কোনো ব্যক্তি এই আইনের ধারা ১৩ এর উপ-ধারা (২) এর অধীনে দোষী সাব্যস্ত হইলে তিনি অন্যূন দুই বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা অন্যূন বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
(৪) এই আইনের অধীনে কোন অপরাধের জন্য সাজাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তিকে দণ্ড ঘোষণার দিন থেকে ১৪ (চৌদ্দ) দিনের মধ্যে উপ-ধারা (১), (২) ও (৩) এ বর্ণিত অর্থ বিচারিক আদালতে জমা দিতে হইবে। এইরূপ আবশ্যিকতা পূরণ ব্যতীত এই আইনের আওতায় কোন অপরাধের দণ্ডের বিরুদ্ধে কোন আপীল করা যাইবে না।
পরিশেষে একটি কথা বলা দরকার। যদিও এখানে পুলিশের কথা বলা হয়েছে কিন্তু যেকোন ধরণের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক নির্যাতন হলেই এই আইনের বিধানাবলী প্রয়োগ করা যাবে। সরকার যথেষ্ট কার্যকরী একটি আইন প্রণয়ন করেছেন। এখন এই আইনের বাস্তব প্রয়োগ ঘটাতে আমাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। সৎ সাহস নিয়ে এগিয়ে আসুন, প্রতিবাদ করুন। ভাল থাকুন।
আপনার কি কিছু বলার ছিল? তাহলে লিখুন মন্তব্যের ঘরে