আরবীতে একটি কথা আছে ‘খায়রুল বালাগ’ যার অর্থ সাবালকত্বের ইচ্ছা। ইংরেজিতে এটাকে বলা হয় Option of Puberty. কোন অভিভাবক কর্তৃক নাবালক বা নাবালিকার বিয়ের চুক্তি সম্পাদিত হয়ে থাকলে সাবালকত্ব অর্জনের পর উক্ত নাবালক বা নাবালিকা উক্ত বিয়ের অস্তিত্ব অস্বীকার করতে পারবে। এটাকে সাবালকত্বের ইচ্ছা বা খায়রুল বালাগ বলা হয়। মহিলার ক্ষেত্রে সাবালকত্ব অর্জনের পর এবং বিয়ের অস্তিত্ব সম্পর্কে তাকে অবগত করানোর পর, বিয়ে অস্বীকার করার অধিকার সম্পর্কে তাকে অবগত করার পর এবং যদি সে যুক্ত সঙ্গত বিলম্বের পরও অস্বীকার না করে, তাহলে সে তার বিয়ের অস্তিত্ব অস্বীকার করার অধিকার হারাবে।
১৯৩৯ সালের মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদ আইনে আঠারো বৎসর বয়স পূর্ণ হওয়ার পূর্বেই তার বিয়ে অস্বীকার করার ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। তবে শর্ত হলো যে, এই সময়ের মধ্যে দাম্পত্য মিলন অনুষ্ঠিত হতে পারবে না ।
কিন্তু পুরুষের ক্ষেত্রে যতক্ষণ পর্যন্ত সে দেনমোহর প্রদান কিংবা সহবাসের মাধ্যমে সুস্পষ্ট কিংবা অস্পষ্টভাবে উক্ত বিয়ে অনুমোদন না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত তার বিয়ে অস্বীকার করার অধিকার বলবৎ থাকবে। কোন নাবালিকার ক্ষেত্রে বিবাহ চুক্তি হলে যতক্ষণ পর্যন্ত না সে স্বাধীনভাবে সম্মতি প্রদান করতে কিংবা সুস্পষ্ট ভাষায় স্বীয় অসম্মতি জ্ঞাপন করতে পারছে ততক্ষণ পর্যন্ত অর্থ্যাৎ ১৮ বৎসর বয়স পর্যন্ত সে তার সাবালকত্বের ইচ্ছা বহাল রাখতে পারে।১৯৩৯ সালের মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদ আইনে আঠারো বৎসর বয়স পূর্ণ হওয়ার পূর্বেই তার বিয়ে অস্বীকার করার ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। তবে শর্ত হলো যে, এই সময়ের মধ্যে দাম্পত্য মিলন অনুষ্ঠিত হতে পারবে না ।
আপনার কি কিছু বলার ছিল? তাহলে লিখুন মন্তব্যের ঘরে