অন্যের জমির ওপর দিয়ে চলাচলের অধিকার বা পথাধিকার বা সুখাধিকার বা easement বলতে ১৮৮২ সালের পথাধিকার অধিকার আইনের ৪ ধারা মোতাবেক এমন এক অধিকারকে বোঝায় যার দ্বারা কোন জমির মালিক কিংবা দখলকার তার জমির সুবিধাজনক ভোগের জন্য অপর কোনো ব্যক্তির জমির উপর বা উহার সম্পর্কে কোনো কিছু করতে বা করা অব্যাহত রাখতে অথবা কিছু করা হতে নিবৃত্ত করতে বা নিবৃত্ত করা অব্যাহত রাখতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়- রহিম কোন এক বাড়ির মালিক। তিনি তার প্রতিবেশী করিমের জমির উপর দিয়ে কোন একটি খাল হতে পানি আনার সুযোগ ভোগ করেন। এটাই পথাধিকার বা easement right।
পথাধিকার শব্দকে ব্যাখ্যা করতে গেলে এটা স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, একজন ব্যক্তি তখনই অধিকার দাবী করতে পারে যখন সেই ব্যক্তি কর্তৃক স্বীয় সম্পত্তিতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখলের সুবিধার্থে অন্যের সম্পত্তির উপর কোনো সুনির্দিষ্ট স্বত্ব বা অধিকার অর্জন করে। এটাই পথাধিকার। যেমন- আলো, বাতাস, পানি ও পথ চলার অধিকার।
ইজমেন্ট এর অধিকার অর্জনের আইনগত সময়সীমা ১৯০৮সালের তামাদি আইনের ২৬ ধারায় বলা হয়েছে। এই ধারা অনুযায়ী যদি কেউ কোন গৃহে নিজ অধিকারে বিনা বাধায় ও শান্তিপূর্ণভাবে আলো-বাতাস পাওয়ার অধিকার একাধিক্রমে ২০ বছর যাবত ভোগ করে থাকে তবে এ অধিকার অলংঘনীয় বলে গণ্য হবে। তবে যে ক্ষেত্রে সরকারি সম্পত্তির ওপর এরূপ দাবি করা হয় সে ক্ষেত্রে ২০ বছরের স্থলে ৬০ বছর হতে হবে। কিন্তু একাদিক্রমে দুই বছর এ অধিকার প্রয়োগে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে থাকলে দুই বছর পর তা লোপ পায়।
১। সেবক স্বত্বের মালিক কর্তৃক প্রত্যক্ষভাবে পথাধিকার অর্জিত হতে পারে। ২। দীর্ঘকাল যাবত অবিচ্ছিন্ন ব্যবহার বা ভোগ দখলের ফলেও পথাধিকার স্বত্ব সৃষ্টি হতে পারে।
৩। সুস্পষ্ট অনুমোদন কিংবা আচরণ দ্বারা অনুমিত মঞ্জুরী বলেও ইজমেন্ট বা পথাধিকার অর্জিত হতে পারে, এবং
৪। কোন এলাকায় স্থানীয় প্রচলিত প্রথা বা দেশাচার দ্বারা পথাধিকার অর্জিত হতে পারে। এরূপ অধিকার অবশ্যই স্থানীয় কোনো ভূসম্পত্তি সম্পর্কিত হতে হবে।
এছাড়া ১৯০৮ সালের তামাদি আইনের ২৬ ধারা মোতাবেক যদি কোন ব্যক্তি বেসরকারি সম্পত্তির ক্ষেত্রে ২০ বছর ধরে এবং সরকারি সম্পত্তির ক্ষেত্রে ৬০ বছর ধরে অবিচ্ছিন্নভাবে স্বীয় অধিকারে আলো, বাতাস, পানি কিংবা পথ চলার অধিকার ভোগ করে থাকে, তবে দীর্ঘদিন ভোগ করার কারণে ভোগদখলের অনুকূলে অধিকার সৃষ্টি হয়।
১। সেবক স্বত্বে মালিক নিজেই উক্ত স্বত্বের উপর তার অধিকার হারালে, পথাধিকার লোপ পাবে।
২। যে ক্ষেত্রে কোন পথাধিকার নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য প্রদান করা হয়, সেক্ষেত্রে উক্ত মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে পথাধিকার বিলুপ্ত হবে।
৩। সেবক স্বত্বের মালিক নিজের সংরক্ষিত ক্ষমতার বলে পথাধিকার বাতিল করলে অধিকার বিলুপ্ত হবে।
৪। প্রয়োজনের নিমিত্তে পথাধিকার সৃষ্টি করা হলে সে ক্ষেত্রে উক্ত প্রয়োজন শেষ হলে পথাধিকার লোপ পাবে।
৫। সুবিধাভোগী বা সেবক স্বত্বের মালিক একই ব্যক্তিতে পরিণত হলে পথাধিকারটি লোপ পাবে।
৬। সুবিধাভোগী বা সেবক স্বত্বের কোন একটি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস প্রাপ্ত হলে পথাধিকারটি লোপ পাবে।
৭। কোন পথাধিকার অবিচ্ছিন্ন এবং একাধিক্রমে ২০ বছর কাল ভোগ করা না হয়ে থাকলে পথাধিকারটি লোপ পাবে ইত্যাদি।
উপরোক্ত ক্ষেত্রগুলিতে easement অধিকার বিলুপ্ত হবে।
আপনার কি কিছু বলার ছিল? তাহলে লিখুন নিচে মন্তব্যের ঘরে।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়- রহিম কোন এক বাড়ির মালিক। তিনি তার প্রতিবেশী করিমের জমির উপর দিয়ে কোন একটি খাল হতে পানি আনার সুযোগ ভোগ করেন। এটাই পথাধিকার বা easement right।
পথাধিকার শব্দকে ব্যাখ্যা করতে গেলে এটা স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, একজন ব্যক্তি তখনই অধিকার দাবী করতে পারে যখন সেই ব্যক্তি কর্তৃক স্বীয় সম্পত্তিতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখলের সুবিধার্থে অন্যের সম্পত্তির উপর কোনো সুনির্দিষ্ট স্বত্ব বা অধিকার অর্জন করে। এটাই পথাধিকার। যেমন- আলো, বাতাস, পানি ও পথ চলার অধিকার।
ইজমেন্ট এর অধিকার অর্জনের আইনগত সময়সীমা
ইজমেন্ট এর অধিকার অর্জনের আইনগত সময়সীমা ১৯০৮সালের তামাদি আইনের ২৬ ধারায় বলা হয়েছে। এই ধারা অনুযায়ী যদি কেউ কোন গৃহে নিজ অধিকারে বিনা বাধায় ও শান্তিপূর্ণভাবে আলো-বাতাস পাওয়ার অধিকার একাধিক্রমে ২০ বছর যাবত ভোগ করে থাকে তবে এ অধিকার অলংঘনীয় বলে গণ্য হবে। তবে যে ক্ষেত্রে সরকারি সম্পত্তির ওপর এরূপ দাবি করা হয় সে ক্ষেত্রে ২০ বছরের স্থলে ৬০ বছর হতে হবে। কিন্তু একাদিক্রমে দুই বছর এ অধিকার প্রয়োগে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে থাকলে দুই বছর পর তা লোপ পায়।
ইজমেন্ট অধিকার অর্জনের বিভিন্ন পন্থা
বিভিন্ন উপায়ে ইজমেন্ট বা পথাধিকার অর্জিত হয়ে থাকে। যেমন-১। সেবক স্বত্বের মালিক কর্তৃক প্রত্যক্ষভাবে পথাধিকার অর্জিত হতে পারে। ২। দীর্ঘকাল যাবত অবিচ্ছিন্ন ব্যবহার বা ভোগ দখলের ফলেও পথাধিকার স্বত্ব সৃষ্টি হতে পারে।
৩। সুস্পষ্ট অনুমোদন কিংবা আচরণ দ্বারা অনুমিত মঞ্জুরী বলেও ইজমেন্ট বা পথাধিকার অর্জিত হতে পারে, এবং
৪। কোন এলাকায় স্থানীয় প্রচলিত প্রথা বা দেশাচার দ্বারা পথাধিকার অর্জিত হতে পারে। এরূপ অধিকার অবশ্যই স্থানীয় কোনো ভূসম্পত্তি সম্পর্কিত হতে হবে।
এছাড়া ১৯০৮ সালের তামাদি আইনের ২৬ ধারা মোতাবেক যদি কোন ব্যক্তি বেসরকারি সম্পত্তির ক্ষেত্রে ২০ বছর ধরে এবং সরকারি সম্পত্তির ক্ষেত্রে ৬০ বছর ধরে অবিচ্ছিন্নভাবে স্বীয় অধিকারে আলো, বাতাস, পানি কিংবা পথ চলার অধিকার ভোগ করে থাকে, তবে দীর্ঘদিন ভোগ করার কারণে ভোগদখলের অনুকূলে অধিকার সৃষ্টি হয়।
কখন এ অধিকারের বিলুপ্তি ঘটে
১। সেবক স্বত্বে মালিক নিজেই উক্ত স্বত্বের উপর তার অধিকার হারালে, পথাধিকার লোপ পাবে।২। যে ক্ষেত্রে কোন পথাধিকার নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য প্রদান করা হয়, সেক্ষেত্রে উক্ত মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে পথাধিকার বিলুপ্ত হবে।
৩। সেবক স্বত্বের মালিক নিজের সংরক্ষিত ক্ষমতার বলে পথাধিকার বাতিল করলে অধিকার বিলুপ্ত হবে।
৪। প্রয়োজনের নিমিত্তে পথাধিকার সৃষ্টি করা হলে সে ক্ষেত্রে উক্ত প্রয়োজন শেষ হলে পথাধিকার লোপ পাবে।
৫। সুবিধাভোগী বা সেবক স্বত্বের মালিক একই ব্যক্তিতে পরিণত হলে পথাধিকারটি লোপ পাবে।
৬। সুবিধাভোগী বা সেবক স্বত্বের কোন একটি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস প্রাপ্ত হলে পথাধিকারটি লোপ পাবে।
৭। কোন পথাধিকার অবিচ্ছিন্ন এবং একাধিক্রমে ২০ বছর কাল ভোগ করা না হয়ে থাকলে পথাধিকারটি লোপ পাবে ইত্যাদি।
উপরোক্ত ক্ষেত্রগুলিতে easement অধিকার বিলুপ্ত হবে।
ইজমেন্ট এর অধিকার বিঘ্নিত হলে যে সকল আইনগত প্রতিকার পাওয়া যায়
১৯০৮ সালের তামাদি আইনের ২৬ ধারা মোতাবেক যদি কোন ব্যক্তি বেসরকারি সম্পত্তির ক্ষেত্রে ২০ বছর ধরে এবং সরকারি সম্পত্তির ক্ষেত্রে ৬০ বছর ধরে অবিচ্ছিন্নভাবে স্বীয় অধিকারে আলো, বাতাস, পানি কিংবা পথ চলার অধিকার ভোগ করে থাকে তবে দীর্ঘদিন ভোগ করার কারণে ভোগ দখলকারীর অনুকূলে যে অধিকার সৃষ্টি হয়, সেই অধিকার বিঘ্নিত হলে ভোগ দখলকারী সেবক স্বত্বে মালিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে উক্ত অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন।আপনার কি কিছু বলার ছিল? তাহলে লিখুন নিচে মন্তব্যের ঘরে।