অনেক ত্যাগ, তিতিক্ষা, সাধনা, অধ্যাবসায় ও কঠোর পরিশ্রমের পর আমরা ফলস্বরুপ একটি সার্টিফিকেট পাই। এই সার্টিফিকেটের যে কত মূল্য তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। এত সাধনার, এত পরিশ্রমের ফল আপনার সার্টিফিকেটটি হাতে পাওয়ার পর যদি দেখেন সার্টিফিকেটে আপনার নাম ভুল এসেছে বা জন্মতারিখ বা পিতা-মাতার নাম ভুল এসেছে তাহলে মাথা নষ্ট হওয়ার উপক্রম হবে এটা স্বাভাবিক। দুঃখজনক হলেও সত্য এমন পরিস্থিতির শিকার হওয়া ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা কম নয়।
সর্টিফিকেটে ভুল নাম বা জন্ম তারিখ আসলে আমরা দিশেহারা হয়ে পড়ি। কি করতে হবে, কিভাবে করতে হবে এমন চিন্তা যখন মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে তখন প্রয়োজনীয় বা কার্যকরী কোন পরামর্শ কারও কাছ থেকেই পাওয়া যায় না। ফলে সঠিক করণীয় না জানার ফলস্বরুপ কাটে নির্ঘুম রাত। তবে তাদের উদ্দেশ্যে বলি সার্টিফিকেটে নিজের নাম বা জন্ম তারিখ বা পিতা-মাতার নাম যেটাই ভুল আসুক না কেন এতে এত বেশি ঘাবড়ানোর কিছু নেই। সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নিলে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
চলুন দেখা যাক কারও সার্টিফিকেটে নিজের বা পিতা-মাতার নামের বানান ভূল আসলে বা জন্ম তারিখ ভুল হলে তার কি কি করণীয় আছে।
কারও জন্ম তারিখ যদি ভুল হয় তাহলে যেই সালে তিনি পাশ করেছেন সেই সাল থেকে পরবর্তী দুই বছরের মধ্যে জন্ম তারিখ সংশোধন করতে হয়। সাধারণত এর পর আর তা সংশোধন করা হয় না। তবে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে পুনর্বিবেচনা করা হয়।
নাম বা জন্মতারিখের ভুল সংশোধনের জন্য প্রথমে আইনজীবীর মাধ্যমে নোটারি বা এফিডেভিট করাতে হবে।প্রার্থীর নিজের নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে তার বয়স যদি ১৮ বছরের বেশি হয়, তাহলে তিনি নিজেই এফিডেভিট করতে পারবেন। প্রার্থীর বয়স যদি ১৮ বছর পূর্ণ না হয় বা প্রার্থী যদি তার মা-বাবার নাম সংশোধন করতে চান, তাহলে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে প্রার্থীর বাবা কর্তৃক প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট বা নোটারি পাবলিকের কাছ থেকে এফিডেভিট করতে হবে।
পত্রিকায় বিজ্ঞাপন
হলফনামা সম্পাদনের পর একটি দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীর সার্টিফিকেট নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, শাখা, পরীক্ষার সাল, পরীক্ষাকেন্দ্রের নাম, রোল নম্বর, বোর্ডের নাম এবং জন্মতারিখ উল্লেখ করে যা সংশোধন করতে চান (প্রার্থীর নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম বা জন্মতারিখ) তা সংক্ষেপে উল্লেখ করতে হবে।
আবেদন পত্র সংগ্রহ ও ফি প্রদান
বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আপনাকে যেতে হবে যে শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা দিয়েছেন সেই বোর্ডে। শিক্ষা বোর্ডের 'তথ্য সংগ্রহকেন্দ্র' অথবা 'বৃত্তি বিভাগ' থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে। আবেদনপত্র সংগ্রহের পর তা নির্ভুলভাবে পূরণ করতে হবে। প্রার্থীর নাম, বাবা বা মায়ের নাম কিংবা জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য (জরুরি ফিসহ) ৫০০ টাকা জমা দিতে হয়। এ ফি সোনালী ব্যাংকের ডিমান্ড ড্রাফটের মাধ্যমে বোর্ডের সচিব বরাবর জমা দিতে হবে। টাকা জমা হওয়ার পর আবেদন কার্যকর হবে।
আবেদন পত্রের সঙ্গে যে সকল তথ্য জমা দিতে হবে
আবেদনপত্রের সঙ্গে ব্যাংক ড্রাফটের মূল কপি, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির কাটিং, মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সার্টিফিকেটের সত্যায়িত ফটোকপি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক সত্যায়িত এক কপি পাসপোর্ট আকারের ছবি এবং প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট বা নোটারি পাবলিকের কাছে নাম বা জন্মতারিখ সংশোধন সম্পর্কে এফিডেভিট করে তার মূল কপি জমা দিতে হবে।
আবেদন পত্র জমা দেওয়ার পর যা হয়
নাম ও জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য আবেদন গ্রহণের এক মাসের মধ্যে বোর্ড আবেদনকারী এবং তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষকসহ একটি মিটিংয়ে বসে। এ মিটিংয়েই প্রার্থীর আবেদন যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মিটিংয়ে বসার নিদেনপক্ষে ১০ থেকে ১৫ দিন আগেই আবেদনকারীর ঠিকানায় চিঠি দিয়ে জানানো হয়। জরুরি প্রয়োজনের ক্ষেত্রে বোর্ডের চেয়ারম্যানের বিশেষ বিবেচনায় একদিনের মধ্যেও নাম ও জন্মতারিখ সংশোধন করার সুযোগ আছে।
কাজেই, কারও সর্টিফিকেটে ভুল নাম বা জন্ম তারিখ আসলে দিশেহারা হয়ে না পড়ে যত দ্রুত সম্ভব উপরোক্ত কাজ গুলি করুন। কখনো অবহেলা করে গড়িমসি করবেন না। মনে রাখবেন একটি সার্টিফিকেট আপনার সারাজীবনের অর্জন। কাজেই দ্রুত সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করুন।
সর্টিফিকেটে ভুল নাম বা জন্ম তারিখ আসলে আমরা দিশেহারা হয়ে পড়ি। কি করতে হবে, কিভাবে করতে হবে এমন চিন্তা যখন মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে তখন প্রয়োজনীয় বা কার্যকরী কোন পরামর্শ কারও কাছ থেকেই পাওয়া যায় না। ফলে সঠিক করণীয় না জানার ফলস্বরুপ কাটে নির্ঘুম রাত। তবে তাদের উদ্দেশ্যে বলি সার্টিফিকেটে নিজের নাম বা জন্ম তারিখ বা পিতা-মাতার নাম যেটাই ভুল আসুক না কেন এতে এত বেশি ঘাবড়ানোর কিছু নেই। সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নিলে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
চলুন দেখা যাক কারও সার্টিফিকেটে নিজের বা পিতা-মাতার নামের বানান ভূল আসলে বা জন্ম তারিখ ভুল হলে তার কি কি করণীয় আছে।
কারও জন্ম তারিখ যদি ভুল হয় তাহলে যেই সালে তিনি পাশ করেছেন সেই সাল থেকে পরবর্তী দুই বছরের মধ্যে জন্ম তারিখ সংশোধন করতে হয়। সাধারণত এর পর আর তা সংশোধন করা হয় না। তবে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে পুনর্বিবেচনা করা হয়।
নাম বা জন্মতারিখের ভুল সংশোধনের জন্য করণীয়
হলফনামা সম্পাদননাম বা জন্মতারিখের ভুল সংশোধনের জন্য প্রথমে আইনজীবীর মাধ্যমে নোটারি বা এফিডেভিট করাতে হবে।প্রার্থীর নিজের নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে তার বয়স যদি ১৮ বছরের বেশি হয়, তাহলে তিনি নিজেই এফিডেভিট করতে পারবেন। প্রার্থীর বয়স যদি ১৮ বছর পূর্ণ না হয় বা প্রার্থী যদি তার মা-বাবার নাম সংশোধন করতে চান, তাহলে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে প্রার্থীর বাবা কর্তৃক প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট বা নোটারি পাবলিকের কাছ থেকে এফিডেভিট করতে হবে।
পত্রিকায় বিজ্ঞাপন
হলফনামা সম্পাদনের পর একটি দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীর সার্টিফিকেট নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, শাখা, পরীক্ষার সাল, পরীক্ষাকেন্দ্রের নাম, রোল নম্বর, বোর্ডের নাম এবং জন্মতারিখ উল্লেখ করে যা সংশোধন করতে চান (প্রার্থীর নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম বা জন্মতারিখ) তা সংক্ষেপে উল্লেখ করতে হবে।
আবেদন পত্র সংগ্রহ ও ফি প্রদান
বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আপনাকে যেতে হবে যে শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা দিয়েছেন সেই বোর্ডে। শিক্ষা বোর্ডের 'তথ্য সংগ্রহকেন্দ্র' অথবা 'বৃত্তি বিভাগ' থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে। আবেদনপত্র সংগ্রহের পর তা নির্ভুলভাবে পূরণ করতে হবে। প্রার্থীর নাম, বাবা বা মায়ের নাম কিংবা জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য (জরুরি ফিসহ) ৫০০ টাকা জমা দিতে হয়। এ ফি সোনালী ব্যাংকের ডিমান্ড ড্রাফটের মাধ্যমে বোর্ডের সচিব বরাবর জমা দিতে হবে। টাকা জমা হওয়ার পর আবেদন কার্যকর হবে।
আবেদন পত্রের সঙ্গে যে সকল তথ্য জমা দিতে হবে
আবেদনপত্রের সঙ্গে ব্যাংক ড্রাফটের মূল কপি, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির কাটিং, মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সার্টিফিকেটের সত্যায়িত ফটোকপি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক সত্যায়িত এক কপি পাসপোর্ট আকারের ছবি এবং প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট বা নোটারি পাবলিকের কাছে নাম বা জন্মতারিখ সংশোধন সম্পর্কে এফিডেভিট করে তার মূল কপি জমা দিতে হবে।
আবেদন পত্র জমা দেওয়ার পর যা হয়
নাম ও জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য আবেদন গ্রহণের এক মাসের মধ্যে বোর্ড আবেদনকারী এবং তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষকসহ একটি মিটিংয়ে বসে। এ মিটিংয়েই প্রার্থীর আবেদন যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মিটিংয়ে বসার নিদেনপক্ষে ১০ থেকে ১৫ দিন আগেই আবেদনকারীর ঠিকানায় চিঠি দিয়ে জানানো হয়। জরুরি প্রয়োজনের ক্ষেত্রে বোর্ডের চেয়ারম্যানের বিশেষ বিবেচনায় একদিনের মধ্যেও নাম ও জন্মতারিখ সংশোধন করার সুযোগ আছে।
কাজেই, কারও সর্টিফিকেটে ভুল নাম বা জন্ম তারিখ আসলে দিশেহারা হয়ে না পড়ে যত দ্রুত সম্ভব উপরোক্ত কাজ গুলি করুন। কখনো অবহেলা করে গড়িমসি করবেন না। মনে রাখবেন একটি সার্টিফিকেট আপনার সারাজীবনের অর্জন। কাজেই দ্রুত সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করুন।